October 17, 2025, 2:38 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
খুলনায় স্থানীয় একটি গ্যাং গ্রুপের সাথে যৌথ বাহিনীর আড়াইঘন্টা গোলাগুলি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছে। আটক করেছে গ্যাং গ্রুপের ১১ সদস্যকে।
ঘটনা ঘটেছে শহরের সোনাডাঙ্গার বানরগাতী এলাকার আরামবাগের একটি সংস্কারাধীন বাড়িতে।
এ ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নৌ বাহিনীর সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে একদল সন্ত্রাসী ঐ বাড়িতে বসে মিটিং করছে। পুলিশের একটি দল সেখানে পৌনে ১ টার দিকে উপস্থিত হয়। উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশ পাল্টা জবাব দেয়।
তিনি বলেন, বিষয়টি যৌথ বাহিনীকে জানানো হয়। যৌথ বাহিনী এসে পুলিশের সাথে যোগ দেয়।
পুলিশ ভেতরে সন্ত্রাসীদের কথাবার্তা শুনতে পাওয়া যায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গোলাগুলি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে, রাত দিনটার দিকে পুলিশ আহত অবস্থায় খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ ও তার অন্যতম সহযোগী কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ টি পিস্তল, ১ টি একনলা শর্টগান, ১টি কাটা বন্দুক, ১ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ৭ টি দামি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
ঐ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পেছনে একটি পুকুরে অনেকগুলো অস্ত্র ফেলে দেয়। যেগুলো উদ্ধারে সকালে ওই পুকুরে তল্লাশি চালানো হবে।
রাত সাড়ে ৩ টার দিকে অভিযান অসমাপ্ত করা হয় এবং বাড়িটি ডিবি পুলিশের একটি দল ঘিরে রেখেছে।
এ ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নৌ বাহিনীর সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ সদস্যরা খুলনা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
আটককৃতরা হলেন, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ (৩৩), কালা লাভলু (রুবেল ইসলাম) (৩৫), মো. আরিফুল (২৭), ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩), ইমরানুজ্জামান (৩৩), ইমরান (৩৫), রিপন (৩৮), সৈকত রহমান (২৭), মো. মহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং মো. গোলাম রব্বানী (২৬)।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. হাই জানান জানান আটক সন্ত্রীদের বেশীলভাগই আহত। তাদের সকলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।